একই সময়সূচি: একই সময়ে জমজ সন্তানদের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করুন। এজন্য বাচ্চারা কখন ঘুমোচ্ছে, খাচ্ছে, কখন জামা-কাপড় বদলাতে হচ্ছে-এগুলো ডায়েরিতে লিখে রাখুন। এতে দুটি বাচ্চাই সমানভাবে যত্ন-আত্তি পাবে। একইসঙ্গে আপনিও নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারবেন। তবে প্রথম প্রথম এই কাজগুলো করতে সমস্যা হলেও সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে। আরামদায়ক জায়গা নির্ধারণ: কোন কোন জায়গায় শোয়ালে বাচ্চারা চটজলদি ঘুমিয়ে পরে তার একটা লিস্ট তৈরি করে নিন। সে অনুযায়ী তাদের ঘুমাতে দিন। এতে আপনি নিজের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন। ডাবল স্টোলার (দুই আসনের বাহন) :প্রত্যেকদিন সময় করে শিশুদের নিয়ে বাইরে বের হোন। অভ্যাসটি আপনাকে ও শিশুদের মানসিকভাবে ভালো রাখবে। তাজা বাতাস যে কোনো ধরনের শারীরিক অসুবিধা থেকে দূরে রাখে। সেইসঙ্গে মনও সুন্দর এবং সতেজ থাকে। এক্ষেত্রে জমজদের যত্নে ডাবল স্টোলারের কোন বিকল্প নেই। একই সময়ে ঘুম পাড়ান : বাচ্চাদের একই সময়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করুন। তাদের কাপড় পাল্টানো, গোসল, খাওয়ানো প্রভৃতি কাজগুলোও একই সময়ে করার চেষ্টা করুন। কাজগুলো প্রতিদিন একই নিয়মে করলে দেখবেন, বাচ্চারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ওই একই কাজটি করবে। এতে সংসারের অন্য কাজগুলো করা আপনার জন্য সহজ হবে। তবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাচ্চাদের এসে দেখে যেতে ভুলবেন না যেন। মেঝেতে বসান :দিন দিন বাচ্চারাও বড় হতে থাকে। তাই মেঝেতে কোন পাটি কিংবা বিছানা বিছিয়ে তাদের বসানোর চেষ্টা করুন। প্রথমে একটি ধরে রেখে অন্যটিকে বসান। এভাবে করলে দেখবেন বাচ্চারা স্বাধীনভাবে খেলাধুলা করার চেষ্টা করবে। আরও : বাচ্চাদের খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেক বাবা-মা নিজেদের খেয়াল রাখতে ভুলে যান। এজন্য নিজেতের যত্নে রাতে ভালো ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে শিশুরা যখন ঘুমোচ্ছে, তাদের সঙ্গে আপনিও একটু ঘুমিয়ে নিন। অনেক সময় দুই শিশুর পরিচর্যা করতে গিয়ে বাবা-মা মানসিকভাবে কিছুটা খারাপ পরিস্থিতিতে ভুগতে পারেন। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।