ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ওবায়দুল হোসেনের (৪০) মরদেহ ফিরে পেয়েছে পরিবার। নিহতের ৭৩ দিন পর বিজিবি-বিএসএফের তৎপরতায় ভারতীয় পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ মহেশপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। শনিবার বিকেলে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মুন্সী ইমদাদুর রহমানের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল সকালে ভারতের ৫৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন মহেশপুর ব্যাটালিয়নকে (৫৮ বিজিবি) জানায়, সীমান্তের মেইন পিলার ৪৮-এর নিকট ভারতের মধুপুর এলাকায় একটি অজ্ঞাত মরদেহ পড়ে আছে। পরে ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরদিন ২৮ এপ্রিল সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হানেফ আলী যাদবপুর বিওপিতে গিয়ে জানান, তার ছেলে ওবাইদুল গত ২৬ এপ্রিল রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। সীমান্তের অপর পাশে যে মরদেহ পাওয়া গেছে, সেটিই তার ছেলের বলে দাবি করে তিনি বিজিবির কাছে লিখিতভাবে মরদেহ ফেরতের আবেদন জানান।
আবেদনের প্রেক্ষিতে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় তৎপরতার পর গত ৯ জুলাই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ হস্তান্তরে সম্মত হয়। বিএসএফ মরদেহ শনাক্তের জন্য ছবি ও পরিচয়পত্র চেয়ে বিজিবিকে জানায়।
১২ জুলাই সকাল ১০টায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ চূড়ান্তভাবে মরদেহ হস্তান্তরের সময় ও স্থান বিজিবিকে জানায়। পরে বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা মরদেহটি শূন্যরেখায় নিয়ে আসে। সেখানে ওবাইদুলের বাবা ও সৎমা তার পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করে।
মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বিজিবির দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে ওবায়দুলের মরদেহ ফেরত আনা সম্বভব হয়েছে। এবং মরদেহ পরিবারের কাছে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দাফন হয়েছে।