নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে মিল্টন হোসেন (৪০) ও পারভেজ আহমেদ (৩৫) নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজের ভেতরে এই জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে। হত্যায় জড়িত ও নিহতরা বিএনপির মজিদ-হাসান গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। নিহত মিল্টন হোসেন ‘ছায়াবৃত্ত’ মাল্টিপারপাস কোম্পানির মালিক এবং পারভেজ আহমেদ তার কর্মচারী। নিহত মিল্টনের বাড়ি বরিশাল জেলায়। তার বাবার নাম সাহেব আলী। সে কাশীপুর হোসাইনী নগর এলাকাতে থাকতো। এলাকাবাসী জানান, মিল্টনের প্রতিপক্ষদেরও একটি মাল্টিপারপাস কোম্পানি রয়েছে। মাল্টিপারপাস ছাড়াও এলাকায় মাদক ব্যবসা ও জমি বেচাকেনা বিষয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। তিনদিন আগে বাপ্পী শিকদার নামের এক তরুণকে মিল্টনের সমর্থকরা কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে রিকশা গ্যারেজে হানা দেয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা গ্যারেজের ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে বসে থাকা মিল্টন ও পারভেজকে তারা এলাপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। হামলাকারীরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে চলে যাওয়ার সময় রিকশা গ্যারেজটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হোসাইনী নগর এলাকার যে বাড়িতে মিল্টন ভাড়া থাকতো সেই বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিন জানান, ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ রাতেই লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে কাশীপুর এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মো. সরফুদ্দিনের সঙ্গে গতকাল বিকালে (সাড়ে ৫টা) জোড়া খুনের ঘটনার ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জানান, হত্যাকারীদের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযান চলছে। এখনো নিহতদের স্বজনরা থানায় কোনো মামলা করেনি।