1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন ব্রেন্ডন টেইলর গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে: ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খালাস পেলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক আ. লীগ নেতা মোবারক জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে: আখতার হোসেন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় প্রকৌশলী-স্থপতিসহ ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি ও তার ছেলেকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা রুশ উপকূলে ৮.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া-জাপানে সুনামি সতর্কতা সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন তাবলিগের দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে কমিটি হচ্ছে: ধর্ম উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনে হিসাব জমা দিলো জাপা, বেড়েছে আয় ও ব্যয়

চিরিরবন্দরে আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

দিনাজপুর প্রতিনিধি : আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আলু চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ও বাজারদর ভালো পাওয়ায় আগাম জাতে আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকেরা। পাইকাররা জমি থেকে প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার প্রতিহেক্টরে ফলন হয়েছে ১০-১২ মেট্রিক টন।

চিরিরবন্দর উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নগর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, লাভের আশায় এক বিঘা জমিতে সাত জাতের আলু লাগিয়েছি। জমি থেকেই পাইকাররা আলু প্রতিকেজি ৫৬ টাকা দরে নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার সাঁইতাড়া ইউনিয়নের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে লাভের আশায় এক বিঘা জমিতে দুই জাতের আলু লাগিয়েছি। তবে আর ১০দিন আগে আলু তুলতে পারলে ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি করতে পারতাম। আমার জমি থেকে পাইকাররা প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকা দরে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলন ভালো হওয়ায় এ দামে আলু বিক্রি করেও ভালোই লাভ হচ্ছে।

কৃষক মো. জাকির হোসেন বলেন, তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের চার জাতের আলু চাষ করেছি। তিন বিঘা জমিতে সব মিলে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিন বিঘা জমির আলু বিক্রি করছি সাড়ে ৫ লাখ টাকায়। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও আমার আড়াই লাখ টাকা লাভ হয়েছে। আমি প্রতিকেজি আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আগাম আলুর ফলন গতবছরের তুলনায় বেশি ও দাম ভালো পাওয়ায় লাভ বেশি হয়েছে।

কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। আলু বীজের দাম বেশি থাকায় এক বিঘা জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আলু বিক্রি হবে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। বীজের দামটা কম থাকলে আরও বেশি লাভ হতো।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিনহাজুল হক নবাব বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু করেছে। আলু চাষিদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আগাম জাতের আলুর ফলন তুলনামূলক কম হয়। তারপরেও এবার ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। কৃষকরা বর্তমান বাজারে আলুর দাম বেশ ভালোই পাচ্ছেন। এরপরের মৌসুমে আগাম জাতের আলু লাগানোর জন্য কৃষকেরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে সেভেন, স্ট্যারিক্স জাতের আলু উত্তোলন শুরু করেছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা আগাম জাতের আলু ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে তুলতে পারেন। সাধারণত হেক্টর প্রতি আগাম জাতের আলুর ফলন ১০-১২ মেট্রিক টন। তবে মাঠ পর্যায়ের কৃষকেরা যে আলু তুলছেন সেখানে আমরা দেখছি হেক্টর প্রতি ১২-১৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত আলু উৎপাদন হয়েছে। কৃষকেরা বর্তমানে প্রতিকেজি আলু ৫০-৬০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও তারা ভালো লাভ পাচ্ছেন।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews