স্টাফ রিপোর্ট : যশোর থেকে নিখোঁজ হওয়া ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের মরদেহ সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের একসরা গ্রামে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রেজাউল ইসলাম যশোর কোতোয়ালী থানার শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় দর্জির কাজ করতেন। অন্যদিকে আটক সবুজ গাজী (৩৫) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাওনিয়া গ্রামের হবি গাজীর ছেলে। যশোরে তার একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, যশোর শহরে একটি ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করতেন রেজাউল ইসলাম ও সবুজ গাজী। জমি ক্রয় করে দেবার কথা বলে রেজাউলের কাছ থেকে ১০-১৫ লাখ টাকা নেন সবুজ। পরে জমি না কিনে টাকা ফেরত চাইলে চাপের মুখে পড়ে সবুজ। গত ২২ মার্চ টাকা ফেরতের কথা বলে রেজাউলকে ডেকে নেয়। এরপর থেকেই রেজাউল নিখোঁজ ছিলেন। ২৫ মার্চ সবুজ ও তার স্ত্রী প্রিয়াংকা খাতুন ভাড়া বাসা থেকে উধাও হয়ে যান। এ ঘটনায় রেজাউলের স্ত্রী মমতাজ বেগম কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
যশোর থানার এসআই চঞ্চল কুমার জানান, ঘটনার পর থেকেই সবুজ গাজীর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। অবশেষে ২৫ এপ্রিল তার মোবাইল খোলা হলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করা হয় চট্টগ্রামে। সেখান থেকে ২৬ এপ্রিল সবুজ ও তার স্ত্রী প্রিয়াংকাকে আটক করা হয়।
সবুজ গাজী পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে গত ২৩ মার্চ রেজাউলকে হত্যা করে মরদেহ সাতক্ষীরার আশাশুনির একসরা গ্রামে ঘেরের পাশে মাটিতে পুঁতে রেখেছিল। তার দেখানো স্থান থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরা আশাশুনি থানার ওসি শামসুল আরেফিন বলেন, যশোর থানা পুলিশের অভিযানে আমরা সহায়তা করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।