1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় থাকা দুটি লকার খুলে ৮৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল। আদালতের অনুমতি নিয়ে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এনবিআর, সিআইসি ও দুদকের যৌথ তদন্ত দল লকার দুটি খুলে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করে।

অগ্রণী ব্যাংকের দিলকুশা প্রধান শাখায় বহুদিন ধরে লকার দুটি সিলগালা অবস্থায় ছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইসির দল লকার নম্বর ৭৫১ ও ৭৫৩ জব্দ করে। এরপর প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় আদালত লকার খোলার অনুমতি দেয়। ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার দুটি খোলা হয় এবং স্বর্ণালঙ্কারগুলো জব্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সিআইসির এক কর্মকর্তা জানান, লকার দুটির ভেতর থেকেই সব স্বর্ণ পাওয়া গেছে, যা এখন ব্যাংকের লকারেই নিরাপত্তার আওতায় থাকবে। পরে সরকারের নির্ধারিত খাতে এ সম্পদ হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, এটি এনবিআরের স্বতন্ত্র অভিযান নয়, বরং একটি যৌথ তদন্তের অংশ হিসেবে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী লকার খোলা হয়েছে।

একই দিনে পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখায় শেখ হাসিনার নামে থাকা আরেকটি লকারও খোলা হয়। তবে সেখানে কোনো স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়নি। লকারটিতে শুধু একটি পাটের বস্তা ছিল বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর পূবালী ব্যাংকের ওই শাখায় লকার নম্বর ১২৮ জব্দ করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার নামে একই শাখায় থাকা দুইটি ব্যাংক হিসাবে মোট ৫৬ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়, যার মধ্যে ১২ লাখ টাকা এফডিআর এবং ৪৪ লাখ টাকা চলতি হিসাবের ছিল।

অগ্রণী ব্যাংকের এমডি আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম দফায় জব্দের সময় জানিয়েছিলেন, গ্রাহকের অনুপস্থিতিতে কোনো লকার খুলতে হলে আদালতের অনুমতি বাধ্যতামূলক। সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই লকারগুলোতে হাত দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংকের একটি চাবি এবং গ্রাহকের একটি চাবি—এই দুই চাবি ছাড়া লকার খোলা সম্ভব নয়, তাই পুরো প্রক্রিয়াটি আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট দেশে ব্যাপক গণঅন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এর পরপরই অন্তর্বর্তী সরকার তার ও তার পরিবারের আর্থিক লেনদেন, কর ফাঁকি ও সম্পদ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করে। সিআইসি, দুদক এবং এনবিআর বর্তমানে এসব অনুসন্ধান একসঙ্গে পরিচালনা করছে।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম লিমিটেড
Theme Customized BY LatestNews