1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত আখেরি মোনাজাতে অশ্রুসিক্ত চোখে শেষ হলো জোড় ইজতেমা বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে শিক্ষকদের আন্দোলন: ছাড় পাবে না কেউ—হুঁশিয়ারি শিক্ষা উপদেষ্টার দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই জিয়া পরিবারের শক্তি: তারেক রহমান থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যায় প্রাণহানি : প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক বিপিএল নিলাম শেষে সবচেয়ে আলোচনায় নাঈম টিপ পড়ছেন? টিপের আঠায় হতে পারে চর্মরোগ নোনা পানি আল্লাহর কুদরতে যেভাবে মিষ্টি হয় মারা গেছেন অস্কারজয়ী চিত্রনাট্যকার স্যার টম স্টপার্ড ইইউ বাজারে পণ্যের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধিতে জাতীয় ট্রেসেবিলিটি উন্নয়ন বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত

বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে শিক্ষকদের আন্দোলন: ছাড় পাবে না কেউ—হুঁশিয়ারি শিক্ষা উপদেষ্টার

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক:     শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে সোমবার সন্ধ্যায় দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সরকারি কর্মচারী বিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাদেরকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।”

ড. সি আর আবরার বলেন, “মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলনের নামে যা করছেন, তা সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য আপনাদের কিন্তু তৈরি থাকতে হবে। এখানে সরকার একেবারে দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। আমরা অবশ্যই মনে করি যে, বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে অবস্থান নিয়েছেন, যেমন অনেক স্কুলে পরীক্ষা হয়েছে আবার অনেক স্কুলে হয়নি, এটা একেবারেই অনভিপ্রেত একটি ঘটনা।”

‘এটা অন্যায়, অন্যায্য যে, তারা নবম গ্রেডে আসতে চাচ্ছে। কারণ চাকরি যখন নিয়েছিলেন তারা জানতেন তারা দশম গ্রেডে থাকবেন। সেখান থেকে নবম গ্রেডের এই দাবি, এটা তাদের চাকরির শর্তের মধ্যে মোটেই ছিল না। সুতরাং এটা একটা অন্যায্য ও অন্যায় দাবি। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে নবম গ্রেডে বিসিএস এডমিন ক্যাডাররা আসেন। কাজেই এটা এককভাবে তাদের সাথে সমাধানের কোনো বিষয় না। এটা হচ্ছে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বিষয়। এই পদে যে কেউ হুট করে চাইলেই যেতে পারে না’-উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “নবম গ্রেডে যাওয়ার ক্ষেত্রে কম্পারেটিভ একটা বিষয় এখানে রয়েছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দিন দুয়েক আগে তারা এই দাবি উত্থাপন করেছে। এমন সময় যখন তাদের স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। অথবা কোন কোন জায়গায় বার্ষিক পরীক্ষা বা টেস্ট পরীক্ষা যখন হবে। মূলত তারা যে হাতিয়ারটা ব্যবহার করছেন সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অস্ত্র হিসেবে তারা ব্যবহার করছেন। যেটা শিক্ষক হিসেবে চরম একটি অনৈতিক কাজ তারা করছেন।উপদেষ্টা বলেন, কাজেই আমরা তাদের অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাখ্যান করছি এবং আমরা তাদেরকে বলছি যে, আপনারা মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা নেন। অন্যথায় সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিধি লঙ্ঘনের দায়ে যে, শাস্তি রয়েছে সেগুলোর জন্য আপনাদের কিন্তু তৈরি থাকতে হবে।”

‘এখানে সরকার একেবারে দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান ব্যক্ত করছে। পরীক্ষায় কোনো রকমের আপস এখানে হবে না। পরীক্ষা আপনাদেরকে নিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের উপরে যে চাপ এবং অভিভাবকদের উপরেও যে চাপ সেটা যেন লাঘব হয়। সমস্ত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা সকলেই জানাচ্ছেন, পরীক্ষা দিতে ছাত্রছাত্রীরা আগ্রহী, অভিভাবকরা আগ্রহী। তবে একটি অংশ পরীক্ষা নিচ্ছে না। আমি বলবো, শিক্ষকরা তাদের স্কুলের পরীক্ষা নেবেন। অন্যথায় তারা শাস্তির মুখোমুখি হবেন’-যোগ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম লিমিটেড
Theme Customized BY LatestNews