ময়মনসিংহে কাদামাখা যে সড়কে কার্পেটিং করার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভারাইল হয়েছে, সেটির কাজে ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ওই অংশটুকু ভেঙে নতুন করে সংস্কারের কথাও জানিয়েছে তারা।
ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌর শহরের আমুয়াকান্দার বালিয়া মোড়ের ওই সড়কটির সংস্কারের ছবিটি ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে।
বৃষ্টিতে তৈরি হওয়া কাদার মধ্যেই পিট ঢালার ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক ক্ষোভও জানাচ্ছে মানুষ। কেউ কেউ আবার এ নিয়ে রসিকতাও করছেন। এই সড়ক কয়দিন টিকবে সে নিয়ে সংশয়ের কথাও বলছে বহু মানুষ।
এরই মধ্যে সড়ক বিভাগের (সওজ) ময়মনসিংহ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঢাকাটাইমসের কাছে তিনি স্বীকার করেন এই পরিবেশে কার্পেটিং করা ঠিক হয়নি।
এখন তাহলে কী হবে-জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘খারাপ অংশটুকু ভেঙে নতুন করে কার্পেটিং করা হবে।’
সাংবাদিক ও এলাকাবাসীদের সহযোগিতা চেয়ে এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজ করলে কিছু সমালোচনা হবে। তা সহ্য করে সততার সাথে কাজ করে যেতে হবে। খারাপ কাজের সাথে কোন আপস হবে না।’
গত ২৩ মে এই সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। আগের কয়েকদিন ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে আর এতে সড়কের ওপর পানি জমে যায়। ধূলাবালিতে পানি মিশে তৈরি হয় কর্দমাক্ত পরিবেশ। এরই মধ্যে শ্রমিকরা পিচ ঢেলে রাস্তার ওপরের অংশ মসৃন করার কাজ করছিলেন।
বিটুমিন বা পিচের ধর্ম হচ্ছে, পানি থাকলে এটি জমাট না বেঁেধ গুড়ো গুড়ো হয়ে যায়। আর এই অবস্থায় গাড়ির চাকার ঘর্ষণে সহজেই ভেঙে যায় সড়ক।
ফেসবুকের পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এই সংবাদ ছাপা হয়। এতে সমালোচনার মুখে পড়ে সড়ক বিভাগ। পরে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
এরপর সোমবার পৌর মেয়র আমিনুল হক, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানেই সড়কটির ওই অংশ ভেঙে আবার মেরামতের সিদ্ধান্ত হয়।
যাদের অসর্তকতা বা অবহেলায় একই কাজ দুইবার করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থেও অপচয় হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে অবশ্য কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আর এ নিয়ে কিছু বলতেও নারাজ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা।