মুহা. সাজ্জাদ হোসেন
মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল-মোহনপুর এবং টরকী- গালিমখাঁ বাংলা বাজার সড়কটি নির্মাণের ৬মাসের মধ্যে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ষাটনল-মোহনপুর ২২ কিলোমিটার রাস্তায় ছোট টরকী- বাংলা বাজার ২২ কিলোমিটার রাস্তা সহ মোট ৪৪ কিলোমিটার ছোট বড় গর্ত রয়েছে প্রায় অর্ধশত। স্থানীয়রা মনে করেন, দায়সারা কাজ করে সরকারের প্রায় ৫০ কোটি টাকা জলে ডোবার উপক্রম। ফলে চলতি মৌসুমে বর্ষায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা।
সরজমিনে দেখা গেছে, ষাটনল-মাহনপুর এবং টরকী- বাংলা বাজার সড়কে ছোট বড় গর্ত রয়েছে প্রায় ৫০ টির মতো। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেরার ষাটনল-মোহনপুর এবং টরকী-বাংলা বাজার সড়কের ষাটনলের আবু মার্কেট, পূর্ব ষাটনল, সটাকী, দশানী, টরকী, আমুয়াকান্দা, নন্দলালপুর শীবপুর ও বাংলা বাজার পর্যন্ত রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজর যানবাহন। এসব যানবাহনে হাজার হাজার যাত্রী ও বিপুল পরিমান পণ্য পরিবহন হয়। মাইক্রো চালক আলমগীর হোসেন বলেন, বছর না পেরুতেই সড়কের যে অবস্থা হয়েছে তা বলার মতো নয়।
নিরাপদ সড়ক চাই মতলব উত্তর উপজেরা শাখার সাধারণ সম্পাদক মামুন অর-রশিদ বলেন, কাজের মান ভালো না হওয়ায় তাড়াতাড়ি রাস্তা খারাপ হচ্ছে। চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্র মতে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ষাটণল থেকে মোহনপুর ২২ কিলোমিটার রাস্তা ২৪ কোটি টাকায় এবং টরকী থেকে বাংলা বাজার ২২ কিলোমিটার রাস্তা ২৫ কোটি টাকায় নির্মিত হয়। ৪৪ কিলোমিটার রাস্তায় সরকারের ব্যয় হয় ৪৯ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও জনপ্রতিনিধিগণ মনে করছেন, মতলব উত্তর-দক্ষিণ (চাঁদপুর-২) আসনের এমপি, দূর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য রাস্তা মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে কাজ নিয়ে আসেন। অথচ, কিছু সরকারী কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনে এবং তাদের পকেট ভারী করার কারণে দায়সারা কাজ করে মন্ত্রীর উন্নয়ণ কাজে বাঁধাগ্রস্ত করছে।
এ ব্যপারে চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভগের বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রæত দত্ত বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এবং অতি বৃষ্টির কারনে রাস্তা নষ্ট হতে পাড়ে। আমি আপনার মাধ্যমে জেনে দ্রæত ব্যবস্থা নিচ্ছি।##