ব্যাট হাতে বিরাট কোহলির দাপট দেখছে ক্রিকেট বিশ্ব। মাঠের বাইরেও বিরাট কোহলি সর্বদা সংবাদের শিরোনামে। বান্ধবী আনুশকা শর্মার সঙ্গে তার বিয়ের প্রচার শুধু উপমহাদেশে নয়, গোটা বিশ্বের প্রচারমাধ্যমেও জায়গা করে নিয়েছে। বিজ্ঞাপনী দুনিয়াতেও একচ্ছত্র আধিপত্য এখন বিরাট কোহলির।
বিয়ের পরেই বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রয়েছে বিরাট। বিদেশের বাউন্সি উইকেটে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রমাণ করার সফর কোহলির। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, কোহলিকেও একবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল।
অবশ্য ঘটনাটি প্রায় এক দশকের পুরনো। সেই সময়ে বিরাট উঠতি প্রতিভা। বিরাটের অধিনায়কত্বে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। তার কয়েকমাসের মধ্যেই জাতীয় দলে খেলার জন্য বিবেচিত হয় বিরাটের নাম। সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে প্রথম একাদশ জায়গা করতে হয়নি। বেশির ভাগ সময়েই রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছিল।
এরপর ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাকে ভারতীয় ক্রিকেট দলে নেওয়া হয়। দলের নির্বাচকরা ঠিক করেছিলেন, সিরিজ়ের শেষ দুটো ম্যাচে বিরাটকে প্রথম একাদশে খেলানো হবে। তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কোহলি সুযোগ পাওয়ার আগেই মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা হয়। সিরিজ মাঝপথেই স্থগিত করে দেওয়া হয়। দল থেকেও বাদ পড়তে হয় কোহলিকে। কোহলি মনে করেন, সে সময়ই তার ক্যারিয়ারের সবথেকে খারাপ সময় ছিল।
খবর অনুযায়ী, বিরাটকে নিয়ে বোর্ডেও নেতিবাচক ধারণা ছিল। বলা হয়, খেলার তুলনায় বিরাট সেই সময় নিজের চুলের স্টাইল এবং ট্যাটুর উপর বেশি সময় দিতেন। তবে ক্যারিয়ারের ঘোর দুঃসময়ে বিরাটের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ। নিজের ভাইয়ের মতোই আগলেছিলেন বিরাটকে। যুবির পরামর্শেই ঘুরে দাঁড়ান কোহলি।