নওগাঁ জেলার বার এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন জুয়েল এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন,কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ নওগাঁ সদর মডেল থানায় করেছেন। নিয়ামতপুর থানার ভাবিচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদীকা ও নওগাঁ বার এসোসিয়েশন জর্জকোর্টের শিক্ষানোবিশ এ্যাডভোকেট মোছাঃ তাহমিনা খাতুন বিউটি।
চার পৃষ্টার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,গত ০১/০৬/১৪ ইং তারিখে নওগাঁ সদর বার এসোসিয়েশন জর্জ কোর্টের শিক্ষানোবিশ
এ্যাডভোকেট হিসেবে মোছাঃ তাহমিনাকে পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়। এবং তিনি শিক্ষানোবিশ হিসেবে নওগাঁ কোর্টে নিয়মিত প্র্যাকটিজ শুরু করেন গ্রামের বাড়ী নিয়ামতপুর গাবতলী হইতে। এমন অবস্থায় নওগাঁ বার এসোসিয়েনের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ বেলাল হোসেন জুয়েল তাহাকে বিভিন্ন জায়গায়,এমনকি কোর্টের ভিতরে দরকার আছে বলিয়া, চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসিতে ছিলেন। তাহার কুপ্রস্তাবে সাড়া না দিলে,এ্যাডঃ জুয়েল সাহেব বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন, টাকাপয়সা,সোনাগহনা ও বাসাভাড়া করিয়ে দিয়ে সমুদয় খরচপত্র বহন করিবেন বলে জানাতে থাকেন। তাতেও সাড়া না দিলে,পরবর্তীতে তিনি ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন।এরপর এ্যাডঃতাহমিনা খাতুন বিউটির সহিত এ্যাডঃমিজানুর রহমান মিঠু সাহেবের সাথে পরিচয় হয় এবং কিছু মামলা তার শেরেস্থায় দিতে বলেন।সে সুবাদে তার সাথে সুপরিচিত ভাবে চলাফেরা করে।এ্যাডঃ মিজানুর রহমান মিঠু সাহেব তার বাসা, ভাড়া দেবে বলে ছুটির দিন তার বাসায় যেতে বলেন, সেখানে বাসা দেখাশুনা ও কথাবার্তা হবে বলে তার ফোন নং নেন এবং মোবাইলফোনে পরবর্তীতে ছুটির দিন গত ০৭/১০/১৭ইং রোজ শনিবার বিকেল ০৪.০০টার সময় এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মিঠু সাহেব তার বাড়ীতে যেতে বলেন।সরল বিশ্বাসে এ্যাঃতাহমিনা তার খালাতো বোনকে সাথে নিয়ে তার বাসায় গিয়ে দেখে একটি কাজের মেয়ে বাসায় আছে।স্ত্রীর কথা বলিলে, তিনি বলেন বাজারে গিয়েছে। এমন সময় আরেকটি রুমে দেখেন,নওগাঁ বারের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ বেলাল হোসেন জুয়েল সাহেব। তাকে দেখে অবাক হয়ে যান,এবং বলেন,ইনি কেন আপনার বাসায়,?উত্তরে এ্যাডঃ মিঠু সাহেব বলেন,,বিউটি,,,তুমি একটু শান্ত হয়ে বসো।আমরা তোমাকে আমাদের কিছু পারসোনাল কথা বলার জন্য তোমাকে ডেকেছি।তখন এ্যাডঃ তাহমিনা বিউটি বলেন,দেখেন, আমি বেশি সময় দিতে পারবো না,দয়া করে কোন দুটি রুম ভাড়া দেবেন সেটি দেখান। তখন এ্যাডঃ মিঠু সাহেব বলেন,আমি তোমাকে মিথ্যে বলিছি আসলে আমি নিজেই ভাড়া বাসায় থাকি।তবে কোন সমস্যা নেই, তোমাকে পাশের অন্য জনের বাসা ভাড়া নিয়ে দিচ্ছি শুধু তুমি বার এসোসিয়েশন এর সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ বেলাল হোসেন জুয়েল সাহেবের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাও। তাহলে আমরা তোমার বাসা ভাড়া সহ সমস্ত খরচাদি বহন করিবো।আর তুমি যা চাইবে এ্যাডঃ বেলাল হোসেন জুয়েল ভাই তোমাকে তাই দেবে বিনিময়ে তুমি শুধু উনার প্রস্তাব মেনে নাও।তখন এ্যাডঃতাহমিনা বিউটি ভীত হয়ে ইজ্জতহানী ও খুন,জখমের আশঙ্কায় তাহাদের সাথে স্বাভাবিক,সুন্দর ও মিষ্টি আচোরন করে যাহাতে উনারা মনে করে যে, তাহাদের প্রস্তাবে রাজি।এরই এক পর্যায়ে এ্যাডঃতাহমিনা নিজের ইজ্জত,সম্মান ও প্রান রক্ষার্থে সুকৌশলে বলেন যে,ঠিক আছে আমি আপনাদের প্রস্তাবে রাজি,, এখন আমার একটু কাজ আছে বাড়ী যেতে হবে আপনার ফোন নং দেন আমি পরে ফোনে যোগাযোগ করিবো।উনারা তার কথা বিশ্বাস করেন, এভাবে তিনি ফোন নং নিয়ে বাড়ী চলে যান। পরর্বতীতে বার এসোসিয়েশন সাধারন সম্পাদক বেলাল হোসেন জুয়েল সাহেব ফোনে এ্যাডঃ তাহমিনাকে বলেন,আমি যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম,তাতে আপনি রাজি ছিলেন,, এখন কি বলছেন।তখন এ্যাডঃ তাহমিনা বলেন, আপনার আমার সম্মান রক্ষার্থে যা বলেছিলাম তা ভুলে যান।সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ইং ৪/১১/১৭ তারিখে এ্যাডঃ বেলাল হোসেন জুয়েল সাহেব বিভিন্ন নং থেকে বার বার ফোন করেন এবং বলেন যে,সামনে আমার পুনরায় বার এসোসিয়েশন নির্বাচন আসছে,আমি আবারও নির্বাচিত হইলে আমার ক্ষমতাবলে তোমাকে যে কোন শর্তে আমি কোর্টচত্বরে প্রবেশ করতে দেবোনা।এমনকি শিক্ষানবিশ হিসেবে নয় সাধারন পাবলিক হিসেবেও তোমাকে কোর্ট চত্বরে আসিতে দেবো না।তা সত্বেও যদি কোর্ট মোকামে দেখি তাহলে আমি তোমাকে আইনের আওতায় ফেলিয়া বিভিন্ন হয়রানী ও মান- সম্মানের
ক্ষতি করিব।পরর্বতীতে বেলাল হোসেন জুয়েল সাহেব পুনরায় বার এসোসিয়েশন সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গত ইং ১৯/০৩/২০১৮ তারিখ রোজ সোমবার সময় অনুমান বৈকাল ৩:০০ঘটিকায় নব নির্বাচিত সভাপতি সহ আরো বেশকিছু সিনিয়র এ্যাডভোকেট সাহেব মিটিং ডাকেন।এবং মিটিংয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন যে, উক্ত কোর্টে যাহার শিক্ষানবিশ এ্যাডঃ হিসেবে নিজ নিজ সিনিয়র সেরেস্তায় কাজ করে,উক্ত জুনিয়রদের মধ্য যাহাদের এলএলবি অনার্স পাশ করিয়া ৫ বছর পূর্তি হইয়াছে তাহারা আর কোর্টে আসিতে পারিবে না।সেই মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কোন শিক্ষানবীশ এ্যাডভোকেট আর কোর্টে আসি নাই। গত ইং ০৬/০৫/২০১৮ তারিখে আমার ব্যাক্তিগত পারিবারিক মামলা যাহার নং- ৮০/২০১২( দলিল রদ) এর বিষয়বস্তুু,তারিখ,অবস্থাধীন জানার জন্য কোর্টে আসিলে এবং নিয়ামতপুর সহকারী জর্জকোর্ট মোকামের ৪র্থ তলাই পৌঁছালে এ্যাডঃ মিজানুর রহমান মিঠু সাহেব ও বার এসোসিয়েশনের একজন পিয়ন ও একজন মহিলা এসে বলে, সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃবেলাল হোসেন জুয়েল সাহেব আপনাকে অফিসে ডেকেছে।এমতাবস্থায় তাহার সকল কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় রাখিয়া সরল বিশ্বাসে উনার অফিসে যায় এবং প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করেন।এরপর পিয়ন বলে, সাধারন সম্পাদক সাহেব আপনাকে বারের তিন তলায় আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন।পিয়ন সহ সেখানে গিয়ে দেখেন,উনি নাই।মহিলা আয়া বলে,সাধারন সম্পাদক সাহেব আপনাকে এখানে বসতে বলেছেন।তখন ওখানে বসলেই পিয়ন দরজা,জানালা বন্ধ করে দেয় তাকে জিঞ্জাসা করিলে পিয়ন বলে,সাধারন সম্পাদক সাহেব আপনাকে এখানে বন্ধ করে রাখার জন্য আদেশ করেছেন। সে তখন নিরুপাই হয়ে ভয়ে জর্জরিত অবস্থায় মান- সম্মানের ভয়ে পিয়নকে অনুরোধ করে দরজা খুলতে বলিলে কিছুতেই পিয়ন তার কথায় কর্নপাত করে নাই।তখন সে ভাবে যারপর নেই সে ক্ষতি করিবার জন্য আমাকে বন্ধ করে রেখেছে।তখন সে ডাক-চিৎকার দিলে মহিলা আয়া এসে বলে,আপনার শরীর তল্লাশী করার জন্য সাধারন সম্পাদক আদেশ দিয়েছেন।এ্যাডঃ তাহমিনা তখন ক্ষিপ্ত হয়ে আয়াকে বলে,আমাকে তল্লাশী করতে হলে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অফিসে নিয়ে গিয়ে করেন নইলে আমি আরো চিৎকার দিয়ে সিনিয়র সকল এ্যাডভোকেট সাহেবদের এখানে ডাকবো। তখন আয়া ও পিয়ন সাধারন সম্পাদকের কাছে ফোন করলে তিনি বলেন,ঠিক আছে উনাকে সভাপতি সাহেবের রুমে নিয়ে আসো।তারপর সভাপতি সাহেবের রুমে গিয়ে দেখেন,সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ বেলাল হোসেন জুয়েল ও এ্যাডঃ মিজানুর রহমান মিঠু সাহেব সেখানে উপস্থিত। সভাপতি সাহেব,এ্যাডঃ তাহমিনাকে জিঞ্জাসা করেন,,বাবা তুমি কোর্টে কেন আসিয়াছো,? যেহেতু বারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসা নিষেধ আছে,,,তখন এ্যাডঃ তাহমিনা তাহার নিজের কাজ এবং সাধারন সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন জুয়েল সাহেব ও এ্যাডঃ মিজানুর রহমান মিঠু সাহেবের সমস্ত আচোরন ও ঘটনা খুলে বলেন,সভাপতি সাহেব তখন এ্যাডঃতাহমিনাকে শান্তনা দেন।সাধারন সম্পাদক ও মিজানুর রহমান মিঠু সাহেব সভাপতি সাহেবকে বলেন,স্যার উনার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং সভাপতি সাহেব স্বাক্ষর দিতে বলেন।কিন্তু এ্যাডঃ তাহমিনা কিছুতেই সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে রাজি হন না।তখন সাধারন সম্পাদক সভাপতি সাহেবকে বলেন,স্যার,তাহলে উনার কাছ থেকে আপনি লিখিত নেন যে,উনি কোন ব্যাক্তিগত নিজেস্ব কাজেও কখনো কোর্টে আসিতে পারিবেনা।তখন সে নিরুপায় হয়ে সেটাতেও স্বাক্ষর দিতে রাজি হন না।কারন তাহার নিজেস্ব পারিবারিক মামলায় কোর্টে আসিতেই হইবে উনাদের বলিলে,সাধারন সম্পাদক তাহার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন,তুমি যদি লিখিত না দাও তাহলে আমার ক্ষমতাবলে এই মূহুর্তে তোমাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ্য করিবো। তখন সভাপতি সাহেব বলেন যে,বাবা ঠিক আছে, তুমি নিজে হাতে দরখাস্ত লিখে আমাদের সহি করে দাও যে, তুমি ব্যাক্তিগত কাজে বা প্রয়োজনে কোর্টে আসার আগে আমাকে অথবা সাধারন সম্পাদককে ফোনে যোগাযোগ করিয়া আসিবে।অন্যথায় তুমি কোর্টে আসিলে তোমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হবো বলিয়া তাহার নিকট হইতে জোরপুর্বক অঙ্গিকার নামায় স্বক্ষর নেয়।এমতাবস্থায় এ্যাডভোকেট তাহমিনা বিউটি বার এসোসিয়েশন সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ বেলাল হোসেন জুয়েল ও এ্যাডঃ মোঃ মিজানুর রহমান মিঠুর বিরুদ্ধে অসদ আচোরন,শ্লীনতাহানী,হয়রানী জোরপূর্বক আটকীয়ে রাখিয়া অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য বিচারের প্রার্থনা করে আকুল আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে নওগাঁ বার এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ বেলাল হোসেন জুয়েল সাহেব এবং এ্যাডঃ মোঃ মিজানুর রহমার মিঠু সাহেবে সাথে পৃথক ভাবে কথা হলে এর পুরোটাই অস্বীকার করেন। নওগাঁ সদর মডেল থানায় মোবাইল ফোনে অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল হাই সাহেবের সাথে কথা হলে তিনি মোছাঃতাহমিনা বিউটি নামে একজনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান।