1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০১:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
দাম নিয়ে আড়তদারদের আশ্বস্ত করলেন ট্যানারি মালিকরা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এখন ভারতে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকে নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যু গুরুত্ব পাবে ভারতের বিধ্বস্ত বিমানে বিদেশি আরোহী ছিলেন ৬১ জন ভারতের বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে ছিলেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত একই ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেন দুই ফুটবলার হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারির! রাস্তায় লোক জড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গণগ্রেফতার ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ যুক্তরাজ্য সফরের শুরুতেই কর্মব্যস্ত দিনে পার করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : মঙ্গলবার, ১০ জুলাই, ২০১৮

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। এ কার্যক্রম চলে একটানা দুপুর ৩টা পর্যন্ত।

তবে সকাল থেকেই ভোটের মাঠে নেমে পড়েন প্রার্থীরা। উৎসবমুখর পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। এ সময় রাজশাহী উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়।

প্রতীক বরাদ্দের পরই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে ভোটের প্রচার শুরু করেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ইশতেহারে তিনি রাজশাহীকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।

এরপর রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি ওই এলাকার ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রচারণাকালে লিটন বলেন, গত সাড়ে চার বছরে রাজশাহী নগরী উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সবদিক থেকে পিছিয়ে গেছে রাজশাহী। আমি রাজশাহীকে এগিয়ে নিতে চাই। ফিরিয়ে আনতে চাই এ নগরীর ঐতিহ্য আর সমৃদ্ধ ইতিহাস। শিক্ষানগরী রাজশাহীর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন করতে চাই।

রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটন এ সময় আরও বলেন, নির্বাচিত হলে এক লাখ বেকার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। সাহেববাজার এলাকায় যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এ এলাকার আবর্জনা দূর করে পূর্বের ঝকঝকে আর তকতকে চেহারা ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের উন্নয়নে আমার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচিত হলে এগুলো বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।

এদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সকালে শাহ মখদুম (র.) মাজার জিয়ারত করে প্রচারণা শুরু করেন তিনি। এ সময় বুলবুলের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর মাজারের পার্শ্ববর্তী দরগাপাড়া মহল্লায় প্রচারণা চালান বুলবুলসহ বিএনপি নেতারা। এছাড়াও রাজশাহী কলেজের সামনে রাস্তা এবং সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এবং আরডিএ মার্কেট এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন বুলবুল। এ সময় তিনি ধানের শীষে ভোটপ্রার্থনা করেন।

প্রচারণাকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং মেয়রপ্রার্থী বুলবুলের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।

এছাড়া অন্য মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরাও তাদের কর্মী এবং অনুসারীদের নিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় তারা নিজেদের পক্ষে ভোটপ্রার্থনা করেন। বিশাল কর্মী, সমর্থক আর অনুসারী বেষ্টিত প্রার্থীরা এ সময় নানান প্রতিশ্রুতি দেন।

আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ায় এ সময় প্রার্থী এবং তাদের বিশাল কর্মীবাহিনীর উপস্থিতিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় কর্মীরা তাদের প্রার্থীদের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন।

অপরদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর দলীয় প্রার্থীরা নগরীতে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানোসহ মাইকে প্রচার শুরু করেন। বিশেষ করে দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক নির্ধারণ থাকায় তারা আগে থেকে ছাপার কাজ সেরে রাখেন।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকেই অনেকেই প্রচারপত্র টাঙানো শুরু করেন। তবে নগরীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পোস্টার বেশি দেখা গেছে।

এদিকে রিটানিং অফিসার আমিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রথমে সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর মেয়র এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পান। যারা একই প্রতীক চেয়েছেন তাদের লটারির মাধ্যমে প্রতীক দেয়া হয়েছে।

মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নৌকা, বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে ধানের শীষ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মতিন) হাবিবুর রহমান হাবিবকে কাঁঠাল, ইসলামী আন্দোলনের সরিফুল ইসলামকে হাতপাখা এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদকে হাতি প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

যাচাই-বাছাই শেষে এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ কাউন্সিলরে ১৬০ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫২ জন।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড ৩০টি ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ১০টি। মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৮টি। ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন। আর ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৩০ জুলাই।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews