মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় এক মাদ্রাসাশিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের আজিমপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কারি মো. আওলাদ হোসেনকে (৫৫) চুরাইন আনোয়ারুল উলম রহমানিয়া মাদ্রাসার কেরাত বিভাগের শিক্ষক এবং স্থানীয় আতকাবাজারে হারবাল ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন।
এ ঘটনায় বুধবার ভোরে প্রতিবেশী তাইজুল শেখকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আওলাদ হোসেনের স্ত্রী সাহিদা বেগমের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতের খাওয়া শেষ করে ব্যবসার হিসাব-নিকাশ নিয়ে কাজ করছিলেন আমার স্বামী। রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী তাইজুল মোবাইলে কল করে তাকে বাসা থেকে ডেকে নেন। এর পর দীর্ঘ সময় তিনি ফিরে না আসায় এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় বাসা থেকে বের হয়ে তাকে খোঁজ করতে থাকি।
একপর্যায়ে তাইজুলের বাসায় গিয়ে দেখি বাড়ির পাশের পুকুরঘাটে তিনি রক্তমাখা লুঙ্গি পরিষ্কার করছেন। দূর থেকে তাকে স্বামীর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানেন না বলে জানান।
এর পর বাড়ির আশপাশের আত্মীয়স্বজনদের মোবাইলের মাধ্যমে ডেকে আনলে তারা তাইজুলকে আটক করেন। পরে পুকুরের ঘাটলায় কচুরিপানার ভেতরে আমার স্বামীর মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, তাইজুল আমার স্বামীর ব্যবসাবাণিজ্যে উন্নতি এবং চারদিকে সুনামের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন।
হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি জিল্লুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাইজুলকে আটক করা হয়েছে। ঘরের আলমারি থেকে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করা হয়েছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।