ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত ছয় ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি ৯ কিলোমিটার গতিতে এগিয়েছে এবং এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা খুবই কম।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পুরো গতিপথ ভারতের উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের দিকে। এটি উপকূলে আসার পর ভারতের দিকে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের খুলনা এবং সাতক্ষীরা উপকূলে কিছুটা বৃষ্টিপাত হবে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত আবহাওয়া বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার (২৬ মে) ভোর নাগাদ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫২০ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার। ঝড়ো হাওয়ার আকারে এর গতি ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।