সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর ও শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কে করুণ দশা দীর্ঘদিন ধরে। দু’টি সড়কেই গর্ত, বড় বড় খানা-খন্দ ও পানি জমে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। গর্তে পড়ে যানবাহনসমূহের নানা দুর্ঘটনাও ঘটে চলেছে। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সরেজমিনে সড়ক ঘুরে দেখা যায়, কুলাউড়ার চাতলাপুর চেকপোস্ট থেকে শমশেরনগর হয়ে মৌলভীবাজার জেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কি.মি. সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কটি যাতায়াত ও মালামাল পরিবহণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। জেলা সদরের সাথে সংযোগ রক্ষাকারী অন্যতম এ সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। চাতলা শুল্ক স্থলবন্দর ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় পণ্য ও মালামাল আমদানি-রপ্তানি ছাড়াও এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে থাকেন।
দীর্ঘদিন যাবত্ সড়কটি সংস্কার না করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি বন্যায় সড়কের শরীফপুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে বড় বড় ভাঙন দেখা দেয়। এছাড়াও কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরের ২০ কিলোমিটার সড়কের শমশেরনগর মোকামবাজার, মরাজানেরপার, রাধানগর, রামপুর, মুন্সীবাজার, বাবুরবাজার, চৈত্রঘাট, জয়কালি মন্দির, শ্যামেরকোনা বাজার, লঙ্গুরপার, শিমুলতলাসহ সড়কের অধিকাংশই তিন ইঞ্চি পরিমাণ গভীর গর্ত ও খানা-খন্দে ভরপুর। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ।
শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কে চলাচলকারী কলেজ যাত্রী তামান্না সুলতানা, ব্যবসায়ী আশরাফ হোসেন, মোটরসাইকেল আরোহী ফটিকুল ইসলাম জানান, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়বে। বেহাল এই সড়ক দিয়ে যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
অপরদিকে শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কে সংস্কার কাজ হলেও শমশেরনগর বিমান ঘাঁটি থেকে শমশেরনগর বাজারের দু’পাশে সড়ক ভেঙে ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করেছে। সড়কের লাউয়াছড়া উদ্যানেরও কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ গর্ত ভরাটের কাজ করলেও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা এখনও কমানো যায়নি।
সড়ক ও জনপথের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, আপাতত গাড়িতে করে বালু, পাথর নিয়ে সড়কে গর্ত ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কের কাজের জন্য শিগগিরই টেন্ডার হবে। আশাকরি এ সমস্যা বেশিদিন থাকবে না।