পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে আংটি বদল হয়ে গিয়েছে। দু’জনে প্রাক-হনিমুন পর্বও সেরে এসেছেন দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে। তবে বিয়েটা এখনো সারা হয়নি। জানা গেছে, আগামী ১১ই মে দক্ষিণ ২৪ গরগণার বাওয়ালি রাজ বাড়িতে হবে এই রাজকীয় বিয়ে। বিয়ের চিঠি এরমধ্যে অতিথিদের কাছে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এদিকে শুভশ্রীর পরিবারে এখন চরম ব্যস্ততা।
শুভশ্রীর ইচ্ছেতে বর্ধমানে হবে একটি জমকালো রিসেপশান। সেই রিসেপশানেরও আমন্ত্রণপত্র বিলি শুরু করেছে শুভশ্রীর পরিবারের লোকজন। জানা গেছে, তিন রকমের নিমন্ত্রণ পত্র করা হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে বিশেষ আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা হয়েছে। জানা গেছে, হিন্দুরীতি মতে, শুভ অষ্টমঙ্গলায় অর্থাৎ ১৮ই মে হবে এই রিসেপশান। শুভশ্রীদের দেশের বাড়ি বর্ধমান জেলার বাজেপ্রতাপপুরে। এই ছোট্ট শহরেই শুভশ্রীর বড় হয়ে ওঠা। স্থানীয় স্কুলেই দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। প্রচুর বন্ধুবান্ধব রয়েছে বর্ধমানে। আর তাই শুভশ্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী তার বড় হয়ে ওঠার শহরে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ রিসেপশানের। শুভশ্রীর বাবা দেবপ্রসাদ ও মা বীণা দেবী এই রিসেপশান নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দেবপ্রসাদ বাবু জানিয়েছেন, শুভশ্রী বর্ধমানেই বড় হয়েছে। এ শহরে ওর অনেক বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন রয়েছে। তাই এখানে একটি প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিল শুভশ্রী। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওর ইচ্ছেকে সম্মান দিয়েই আমরা অষ্টমঙ্গলার দিন প্রীতিভোজের দিন ঠিক করেছি। সমস্ত আচার মেনে অষ্টমঙ্গলা পালন করে সন্ধ্যা ৭টা থেকে জাতীয় সড়কের পাশে একটি হোটেলে হবে রিসেপশান। জানা গেছে, একেবারে বাঙালি মেন্যু তৈরি করা হয়েছে। থাকবে ২০-২২ রকমের পদ। এছাড়াও থাকবে আইসক্রিম পার্লারসহ ১০-১২ ধরনের বিভিন্ন কাউন্টার। শুভশ্রীর বাবা দেবপ্রসাদ বাবু বলেছেন, আমরা চাই সকলের শুভেচ্ছায় নতুন জীবনে পা রাখুক শুভশ্রী ও রাজ।