বৃন্দাবন মল্লিক : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা ভিড় জমাচ্ছে খুলনা শহরে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা মনে প্রাণে চাচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন, যে নির্বাচন দেখে বিশ্ববাসী মনে করবে যে, শেখ হাসিনার অধিনে সুষ্ঠ নির্বাচন করা সম্ভব। অথচ একটি মহল পরাজিত হওয়ার ভয়ে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য জোর চেষ্টা করছে বলে মনে এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। সোনাডাঙ্গা থানা থেকে একশ গজ দূরে বাসস্ট্যান্ডের সামনে আবাসিক নামধারী হোটেল খনিকায় এসব অপরাধীরা আশ্রয় নিচ্ছে। ঐ হোটেলে রাত্রী যাপন করার জন্য কোন রেজিষ্ট্রি খাতায় নাম নিবন্ধন করার প্রয়োজন হয় না। কে, কোথা থেকে এলো? কেন এলো? স্বামী না স্ত্রী কোন কিছুরই প্রমানাদী দিতে হয় না। বিশস্তসূত্রে জানাগেছে, খুলনা সিটি করপোরেশনের সংবাদ কাভার করার জন্য দৈনিক হক ইনসাফের নির্বাহী সম্পাদক মোঃ লিটন হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার সজীব ও স্টাফ রিপোর্টার নুসরাত মুন্নী ঐ হোটেলে গেলে যথাক্রমেই নুসরাত মুন্নী তৃতীয় তলার ১৪ নাম্বার রুম নেয়। সাংবাদিক লিটন ও সজীব পাশের ডাবল রুম ১৮ নাম্বার রুমে রাত্রী যাপন করার জন্য ভাড়া নেয়। রাত তিন ঘটিকার দিকে একদলের চিৎকার ও হট্টগোল শুনে লিটন ও সজীব রুম থেকে বেড় হয়ে দেখেন বিভিন্ন প্রকার লোকজন আসা যাওয়া করছে। এ সময়ে একটি মহিলার রুমে তিন থেকে চারজন লোক দেখতে পায়। তখন সাংবাদিকরা এসব অপকর্ম না করার জন্য হোটেলের ম্যানেজারকে নিষেধ করলে ম্যানেজার ধমকের সুরে বলে উঠে- ‘আপনার সাংবাদিকতা এই হোটেলে চলে না, আপনি রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকেন।’ এরপরই অন্য একটি রুমের হাসি বেগম, স্বামী আব্দুল সাত্তার, গ্রাম- হাসিয়াডাঙ্গা, পোস্ট- ত্রিমহনী, থানা- যশোর। কথিত প্রেমিক এমডি রানা, পিতা- হালিম, গ্রাম- সন্নাসী বাজার, মোড়লগঞ্জ এরা ২০ নম্বার রুমে অবস্থান করছিল। ম্যানেজার হাসি ও রানাকে ডেকে আনে বলে যে, এই সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা অভিযোগ না করলে তোমাদের নামে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ করা হবে। তখন ঐ মহিলা ভয় পেয়ে ম্যানেজারের কথায় সোনাডাঙ্গা থানায় ফোন দিয়ে এসআই সঞ্জিবকে ডেকে আনে। এসআই সঞ্জিব সাংবাদিকদের এবং মহিলা ম্যানেজার ও কথিত প্রেমিক যুগলদের থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি সোনাডাঙ্গা থানার ওসি অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে উভয়ের কাছ থেকে ঘটনা শুনেন। ওসি সাহেব ঘটনা শুনে কথিত প্রেমিক যুগল ও ম্যানেজারের নামে মামলা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এবিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে ওসি বলেন, আমার থানা এলাকায় কোন সন্ত্রাসী, জঙ্গী ও মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান নাই আমি যেখানেই থাকি না কেন সবসময়ই সততা ও দক্ষতার সহিত দ্বায়িত্ব পালন করার চেস্টা করি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।