1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
এক সিনেমায় যদি ১২৭টি দৃশ্য বাদ ! বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরার সময় ভারতীয় দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৩৪ জেলে আটক প্রধান উপদেষ্টাকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করার কোনো পরিকল্পনা নেই সাম্প্রদায়িকতার প্রমাণ মেলেনি সংখ্যালঘু হত্যা-সহিংসতায়: পুলিশ বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলনের ভিত্তি চব্বিশের জুলাই : রিজভী ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল রাজধানী শেরপুরে মাইক্রোবাসের চাপায় ২ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১ সোহাগ ওরফে লাল চাঁদকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা খবর প্রকাশ : প্রেস উইং যে কারণে নারী-কেন্দ্রিক গল্পে ঝুঁকছেন ডাকোটা জনসন

১১ দফা দাবিতে খুলনায় নৌ চলাচল অচল

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯

নিয়োগপত্র ও খোরাকি প্রদান এবং নৌপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করাসহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বন্দর ও শিল্প নগরী খুলনায় নৌচলাচল অচল হয়ে পড়েছে। নগরীর বিভিন্ন নদীর ঘাটে ছোট-বড়ো ৭ শতাধিক নৌযান নোঙ্গর ফেলে অবস্থান করছে। ধর্মঘটের কারণে খুলনা ও মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে।

এর আগে ১১দফা দাবি আদায়ের জন্য গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশের মতো খুলনাতেও নৌ ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘটের সমর্থনে শনিবার সকাল থেকে নৌযান শ্রমিকরা বিভিন্ন ঘাটে মিছিল-সমাবেশ করেছে।

এদিকে, ধর্মঘটের ফলে খুলনার বিআইডব্লিউটিএ, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ঘাট এবং রুজভেল্ট জেটিতে অবস্থানরত কোনো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা হয়নি। এছাড়া খুলনা লঞ্চঘাট থেকে কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি বা আসেনি। এমনকি মোংলা বন্দর থেকে যশোরের নওয়াপাড়া পর্যন্ত সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা ও যশোরের নওয়াপাড়ার কার্গো বার্জ থেকে পণ্য নেওয়ার জন্য শত শত ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকলেও নৌযান শ্রমিকরা কাজ না করায় শিল্প নগরী খুলনা ও মোংলা বন্দরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মঘটের ফলে মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য বন্দরের জেটিতে আনা নেওয়া এবং বন্দর থেকে নদী পথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন খুলনা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কেন্দ্রের ডাকা ধর্মঘট খুলনা ও মোংলায় সর্বাত্মকভাবে পালিত হচ্ছে। নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট শুরু হওয়ায় শিল্পনগরী খুলনা ও মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সব ধরনের দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্যবোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া খুলনা ও মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে খুলনার ঘাট এলাকায় মিছিল করেছেন শ্রমিকরা। দাবি না মানা পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, শনিবার সকাল ৮টার পর থেকে মোংলা বন্দরের সকল প্রকার নৌ শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছে। লাইটারেজ, কার্গো, বার্জ, অয়েল ট্যাঙ্কার, কোস্টার থেকে শুরু করে সব ধরনের জাহাজি নৌযানের শ্রমিকরা এক যোগে এই ধর্মঘট পালন করছে। ফলে বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা এবং দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নদী পথে চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে নৌযান ধর্মঘটের ফলে খুলনা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে অবস্থানরত সব দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্যবোঝাই-খালাস কাজ বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধ করা, ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস এবং মালিক কর্তৃক খাদ্য ভাতা প্রদান, সব নৌযান শ্রমিকদের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ, এনড্রোস, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুননির্ধারণ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ, প্রত্যেক নৌশ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান, নদীর নাব্য রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন, মাস্টার/ড্রাইভার পরীক্ষা, সনদ বিতরণ ও সনদ নবায়ন, বেআইনি নৌ চলাচল বন্ধ করা, নৌপরিবহন অধিদফতরে সব ধরণের অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ এবং নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews