1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

জেনে নিন উচ্চ কোলেস্টেরলের কিছু নীরব লক্ষণ

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: কোলেস্টেরল এমন একটি পদার্থ যা শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকা দরকার, কারণ এটি হরমোন তৈরিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল যদি বেশি হয়ে যায়, তাহলে এটি রক্তনালিতে জমে গিয়ে ধমনী সরু করে দেয়, যার ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিপদ হচ্ছে কোলেস্টেরল বাড়লেও শরীর অনেক সময় সরাসরি কিছু বলে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে, কিছু লক্ষণ শরীর আমাদের সতর্ক করতে পারে। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে-

১. হাত-পায়ে অবশ বা ঝিনঝিন ভাব

বেশি কোলেস্টেরল রক্তনালিতে প্লাক তৈরি করে। ফলে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয় এবং তা হাত-পায়ে ঝিনঝিনে অনুভূতি বা অবশ ভাব তৈরি করতে পারে।

২. চোখের চারপাশে হলদে জমা

চোখের পাতার কোণে বা চারপাশে ছোট হলুদ ফ্যাটি জমা দেখা গেলে তা হতে পারে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের লক্ষণ। এটি চর্বি জমার দৃশ্যমান চিহ্ন।

৩. বুকে চাপ বা অস্বস্তি

ধমনী সরু হয়ে গেলে হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত রক্ত পায় না। ফলে ব্যায়াম বা হাঁটার সময় বুকের মাঝখানে চাপ, জ্বালা বা অস্বস্তি অনুভব হতে পারে।

৪. পায়ে ব্যথা বা হাঁটলে ক্লান্তি

চবৎরঢ়যবৎধষ অৎঃবৎু উরংবধংব (চঅউ)-এর লক্ষণ-পায়ের ধমনীতে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হলে হাঁটলে পায়ে ব্যথা, ভারী ভাব, এমনকি পা ঠান্ডা অনুভব হতে পারে।

৫. মাথা ঘোরা বা স্ট্রোকের উপসর্গ

রক্তনালীতে রক্ত জমাট বা ব্লক হয়ে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে মাথা ঘোরা, ঝাপসা দেখা, কথা জড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

৬. হঠাৎ ক্লান্তি, দুর্বলতা

কোলেস্টেরলের কারণে যদি হৃদযন্ত্র পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করতে না পারে, তাহলে সহজেই ক্লান্ত বোধ হতে পারে।

৭. কান বা নাকের লোব-এ ফাটল বা রেখা

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কানের লোবের তির্যক রেখা (ফরধমড়হধষ বধৎষড়নব পৎবধংব) থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে হার্ট ডিজিজ ও কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বেশি হতে পারে।

যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ-

অনেক সময় কোনো লক্ষণ ছাড়াও কোলেস্টেরল অনেক বেড়ে যেতে পারে। তাই বয়স ৩০ পেরোলেই বা ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করলে বছরে অন্তত ১ বার লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করানো উচিত।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে যা করবেন-

১. চর্বি ও তেল কম খান (বিশেষত ট্রান্স ফ্যাট)

২. নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম করুন

৩. ধূমপান, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

৫. শাকসবজি ও ফাইবারজাতীয় খাবার বেশি খান

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম লিমিটেড
Theme Customized BY LatestNews