মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ভোলার চর ইলিশায় দীর্ঘ ১৮ বছরেও এমপিও ভুক্ত হয়নি চর আনন্দ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি। এই কারনে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানে জরিত শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ। স্বরে জমিনে গেলে জানা যায় উপজেলার ২নং পুর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে প্রায় ১ একর ৬ শতক জমিতে এই প্রতিষ্ঠানটি গত ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর পরে ২০০৯ সালে এই প্রতিষ্টানটি পাঠ দানের অনুমুতি পায় এবং ২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে মাদ্রাসাটি। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এই মাদ্রাসা থেকে অনেক ছাত্রের ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও পরির্বতন ঘটেনি এই প্রতিষ্ঠানের। এই বিষয়ে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ সবুজ কান্নাজরিত কণ্ঠে বলেন আমরা দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে এমপিও না হওয়ার বিনা বেতনে চাকরী করছি। এমপিও হবে এই আশা বুকে নিয়ে আমাদের জীবন শেষ করলাম। এখন নিজ সন্তানের বভিষ্যত অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে অন্যের সন্তানদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছি। তাই বিভিন্ন মাধ্যমে কতৃপক্ষকে অনুরোধ করছি দ্রত এই মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত করে আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষায শিক্ষিত করতে সহযোগিতা করেন। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ ইব্রাহিম খলিল বলেন দীর্ঘদিন বিনা বেতনে চাকরী করার কিযে কষ্ট তা যদি কেউ এই মাদ্রাসায় এসে শিক্ষক কর্মচারীদের মুখের দিকে তাকাতো তাহলেই বুঝতো আমরা কেমন আছি। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার জমিদাতা মোঃ ছিদ্দিক পালোয়ান ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বর্তমান ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান আঃ বারেক পাটোয়ারী বলেন এখান থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৫/৬ মাইল দুরে তাই এলাকার বাচ্ছাদের ভোগান্তির কথা ভেবে ২০০০ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেছি। সেই থেকে একজন প্রধান শিক্ষক একজন সহকারী সুপার একজন অফিস সহকারী ও একজন পিয়নসহ মোট ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী দিয়ে নিয়মিত চলছে মাদ্রাসাটি। সেই থেকে প্রতি বছর ছাত্র ছাত্রীরা শতভাগ ফলাফল অর্জন করে আসছে। তিনি আরো জানান এই মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত হলে শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপকৃত হবে পাশাপাশি এলাকার গরিব ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত উজ্জল হবে।