স্টাফ রিপোর্টার: ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানার ১নং চেচরীরামপুর ইউনিয়নের নিষিদ্ধ সংগঠন (আওয়ামীলীগ) ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম (ফোরকান) ও তাহার কথিত কন্যা ফারিয়া রহমানকে বাদি বানিয়ে মিথ্যা ও ফিটিং মামলা এফআইআর করেছেন কাঁঠালিয়া থানার ওসি মংচেলা।নিষিদ্ধ সংগঠনের সহ-সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম (ফোরকান) ক্ষমতায় থাকাকালীন সমাজসেবা অধিদপ্তরে টাকা আত্মসাৎ, থানার দালালি, বস্কো ভাতা বিধবা ভাতার নামে অর্থ,জমি দখল, কৃষকদের সরকারি সার-ভিজ আত্মসাৎসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছি।

গোপন সংবাদে পাওয়া যায় নিষিদ্ধ সংগঠনের সহ-সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম (ফোরকান) বিগত দিন আগে জাতীয় পার্টির সাথে সম্পৃক্ত ছিল,পরবর্তীতে জামায়েত ইসলাম, এখন বর্তমানের প্রেক্ষাপট হিসাবে বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পায়ে তারা চালাচ্ছেন। বিগত ১০-১৫ বছর আগে ভান্ডরিয়া উপজেলার ৫নং ধাওয়া ইউনিয়নের রাজপাসা গ্রামের মৃত:সত্তার শিকদারের চতুর্থ পুত্র মো:খলিলুর শিকদারের সংসার ভেঙে তাহার স্ত্রী মাকুল বেগম ও তাহার কন্যা ফারিয়া রহমান স্মৃতিকে বাগিয়ে নিয়ে আসেন। জানা যায় মো.খলিলুর রহমান সিকদার মান সম্মানের দিকে চিন্তা করে কোন প্রতিবাদ করেননি । সংসার ভাঙ্গা শোকে কারণে মো.খলিলুর রহমান সিকদার ২০২৫ সালে স্টক জাতীয় কারণে মৃত্যুবরণ করে।খলিল শিকদারের স্ত্রী মাকুল বেগমকে অবৈধভাবে নিয়ে আসার পর তাহার কন্যা ফারিয়া রহমান স্মৃতি অবৈধভাবে রাখছে নিষিদ্ধ সংগঠনের সহ-সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম (ফোরকান)। সূত্রে জানা যায় মো.খলিলুর রহমান সিকদারের অগাধ সম্পত্তি ও অর্থ থাকার কারণে তাহার স্ত্রী এবং মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে মো.খলিলুর রহমান শিকদারের কন্যা ফারিয়া রহমান স্মৃতিকে ব্যবহার করে বাদি বানিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের সহ-সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম (ফোরকান) ও কাঠালিয়া থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মংচেলা একত্রিত হয়ে বিএনপির নেতা মো.ফারুক তালুকদার ও সাংবাদিক ও জুলাই যোদ্ধা মো.রাজিব তালুকদারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।কাঁঠালিয়া থানার ওসি মংচেলা নজরুল ইসলাম ফোরকানকে দিয়ে গত ১১/০৮/২০২৫ইং তারিখে একটি মিথ্যা মামলা এফ.আই.আর করছে। যাহার মামলা নং -০৫।কাঁঠালিয়া থানার ওসি মংচেলা নজরুল ইসলাম ফোরকানের কথিত কন্যা ফারিয়া রহমান স্মৃতিকে দিয়ে গত ০২/১০/২০২৫ইং তারিখে একটি মিথ্যা নারী-শিশু মামলা এফ.আই.আর করছে। যাহার মামলা নং -০১।পরবর্তীতে থানায় আর এফ.আই.আর মামলা না নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার জন্য।তাই দুইটি দ্রুত বিচার মামলা করেছেন।যাহার মামলা নং-৭৭/২৫(কাঁঠালিয়া), ৭১/২৫(কাঁঠালিয়া)।

উল্লেখ্য এ বিষয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের সহ-সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম (ফোরকান) ব্যবহারকৃত মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তথ্য জানতে চাইলে মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি।কাঁঠালিয়া থানার ওসি মংচেলা ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের সময়ে ঝালকাঠিতে কর্মরত ছিল। ওই আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর পুত্র হিসাবে পরিচিত ছিল ইন্সপেক্টর মংচেলা। ২০১৮ সালের ভোট চুরির সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে থেকে ভোট কেটেছেন ইন্সপেক্টর মংচেলা। ঝালকাঠি সিআইডি /বিজ্ঞ আদালতের ইন্সপেক্টর হিসেবে যখন ছিল তখন অনেক মামলা মকর তোমায় জাবিন করিয়ে দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইন্সপেক্টর মংচেলার।ইন্সপেক্টর মংচেলার গ্রামের বাড়ি বরিশাল পটুয়াখালী জেলায় বর্তমানে চাকরি করছেন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানায়। তাহার পটুয়াখালীতে রয়েছেন নামে বেনামে বিভিন্ন জায়গায় জমি, তাহা স্ত্রী এবং কন্যার নামে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে অবৈধ অর্থ।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের সমাবেশে বাধা প্রদান করেছেন ইন্সপেক্টর মংচেলা। এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর মংচেলা ব্যবহারকৃত মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তথ্য জানতে চাইলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।বিএনপির নেতা মো.ফারুক তালুকদার অভিযোগে বলেন নিষিদ্ধ সংগঠনের সহ-সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম (ফোরকান) ও কাঁঠালিয়া থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মংচেলা এখনো আওয়ামী লীগকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। কারন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে আওয়ামী লীগের পথ পজিশন থাকা লোকদের বাদি বানিয়ে সাংবাদিক, জুলাই যোদ্ধা মো.রাজিব তালুকদার ও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এফ.আই.আর করেছেন।

বর্তমানে আবার তাহার কথিত কন্যা ফারিয়া রহমান স্মৃতিকে চাপের ফেলে আরো তিনটি মামলা করিয়েছেন ওসি মংচেলা ও মো.নজরুল ইসলাম ফোরকান।জুলাই যোদ্ধা ও সাংবাদিক মো.রাজিব তালুকদার অভিযোগ করে বলেন নিষিদ্ধ সংগঠনের সহ-সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম (ফোরকান), কখনো আওয়ামীলীগ কখনো বিএনপি কখনো জামায়েত ইসলাম দল করে অর্থাৎ সুযোগবাদি।৫ই আগস্ট এর পরে নিষিদ্ধ সংগঠনের লোক ও তাহার কথিত কন্যাকে বাদী বানিয়ে আমি সহ বিভিন্ন লোকজনকে হয়রানি করেছেন ওসি মংচেলা। ওসি থানায় যোগদান করার পরে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি,ঘুষ বাণিজ্য, দুর্নীতির সংবাদ প্রচার করেছি আমার পত্রিকায় এজন্য আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ওসির বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আমি লিখিত কমপ্লেন করেছি এবং তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করা হবে। কাঠালিয়া থানাতে যত আওয়ামীলীগের লোকজন আছে তাদের সাথে ওসি মংচেলার যোগাযোগ আছে এবং আওয়ামী লীগকে পূর্ণবাসন করছে।