জানা গেছে, কুতুবপুরের দেলপাড়া, ভূইগড়, আদর্শনগর, গোলাপবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় যারা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত ছিলেন তাদের নিয়েই এখন বড় বড় মিছিলে লোকসমাগম করে নিজের উপস্থিতির জানান দিচ্ছেন যুবদল নেতা ফয়সাল খান স্বপন। আর তাতেই দলের অভ্যন্তরে সমূহ সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেলপাড়া নিবাসী ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা এই প্রতিবেদককে জানান, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা
জুবায়ের ইমন ও কাউসার রিয়েলকে অর্থের বিনিময়ে এলাকায় থাকার ব্যবস্থাসহ বিএনপির হয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিনের বিশ্বস্ত হাতিয়ার বলে পরিচয় দেওয়া স্বপন।
এছাড়াও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড যুবদলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, ফয়সাল খান স্বপন একজন কূটকৌশলী ও সুযোগসন্ধানী নেতা। সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারের ক্ষমতার প্রভাবে বিগত সময়েও স্বপন ছিল সুবিধার পথে। গিয়াস উদ্দিনের সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকায় থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মূলদল ও যুবদলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়েছেন স্বপন। যদিও আন্দোলন সংগ্রামের কঠিন সময়ে রাজপথে দেখা মিলেনি তার। এখন এই স্বপনের দাপটে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা কথা বলতে ভয় পায়। তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বললে ওই ব্যক্তির বিপদ অনিবার্য। তাই স্বপন বরাবরই রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে দলের সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছাত্রদলের একাধিক নেতা বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেদের নিয়ে মাঠ গরম করে রাখছে স্বপন ও ক্যাডার বাহিনী। সঠিক সময়ে দলের হাইকমান্ড এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই হয়ত দলের অভ্যন্তরে কোন্দলের সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে কথা বলতে স্বপনের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাতে সংযোগ পাওয়া যায়নি।