1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
‘দাগি’ দেখতে স্লোগান দিতে দিতে নিশোর ভক্তরা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখল দিন শেষে ১২৪ রানে পিছিয়ে থাকলেও, হাতে ১০ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েই এখন চালকের আসনে শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা রাতে মশাল মিছিল করেছেন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে হয়েছে বিক্ষোভকারীদের রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে নির্বাচন কমিশন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সদস্যকে দায়ী করেছে ছাত্রদল ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে সংস্কার পদক্ষেপ, ঢাকা সফরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতিনিধি দল আইএমএফ দেশে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিভাজন রয়েছে যা এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা:ড. নিয়াজ আহমদ খান

কোটা বাতিলে সচিব কমিটির সুপারিশ চূড়ান্ত

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৮

প্রথম শ্রেণিসহ সকল ধরনের সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বস্তুত উঠিয়ে দেয়ার পক্ষেই সুপারিশ করতে যাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত সচিব কমিটি। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে আপীল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ পিটিশন করতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করবে কমিটি।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। প্রথমে কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছিল। পরে সময় বাড়িয়ে আরো ৯০ কর্মদিবস দেওয়া হয়। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ইত্তেফাককে বলেন, আরো একটি সভা করার পর সুপারিশ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই জটিল। প্রথম শ্রেণিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সৃষ্ট প্রায় ২৫৭ ধরনের কোটা চালু রয়েছে। এগুলো বিচার বিশ্লেষণ-পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। কোথাও যাতে কোনো জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী প্রার্থী পাওয়া যায় না। তাই ওই কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে কমিটি মনে করছে না। কমিটি একাধিক বৈঠক করেছে। বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরিতে কি ধরনের কোটা আছে বা আদৌ আছে কি না সেসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেছে। সূত্র জানায়, বিশ্বের কোনো দেশে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে কোনো কোটা নেই।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং ওই কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আলম কোটার বিষয়ে সচিব কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, ‘কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হলো কোটা অলমোস্ট (প্রায় পুরোটাই) উঠিয়ে দেওয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া। তবে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় আছে যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রতিপালন করতে বা সংরক্ষণ করতে হবে। যদি পদ খালি থাকে, তবে তা খালি রাখতে হবে। প্রশাসনিক আদেশে অবশ্য মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা মেধা কোটা থেকে পূরণের নির্দেশনা রয়েছে।

মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, সরকার আদালতের কাছে মতামত চাইবে। যদি আদালত মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে দেয়, তবে কোটা থাকবে না। আর যদি আদালত বলে, ওই অংশটুকু (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) সংরক্ষণ করতে হবে, তাহলে ওই অংশ বাদে বাকি সবটুকু উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা (কমিটি) নিজেরাও ওই রায় বিশ্লেষণ করেছিল। তবে পুরোপুরি বুঝতে পারছে না। এ জন্য আদালতের মতামত চাওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ‘এখন আমাদের সময় এসেছে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যাওয়া। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সামনে আসবে কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, তারাও (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী) অনেক অগ্রসর হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। প্রাথমিকভাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরবর্তীতে আরো ৯০ কার্যদিবস সময় পায় এ কমিটি।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, আধাসরকারি, প্রতিরক্ষা এবং জাতীয়করণ হওয়া প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করেছে সরকার। বর্তমানে প্রজাতন্ত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, পশ্চাদপদ জেলাগুলোর জন্য কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংরক্ষিত চালু আছে।

গত ১১ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, আদালতের সিদ্ধান্তে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের আদেশ অগ্রাহ্য করার কোনো সুযোগ নেই। অগ্রাহ্য করা হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষ কোটা বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছে।

কোটার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসভবন ভাঙচুরসহ অরাজকতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা একেবারে তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews