গত বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট সিরিজ খেলেছে। এবারও তাই। বিশ্বকাপ ফুটবল উত্তেজনার মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে টাইগাররা। ব্যক্তিগতভাবে আমি ফুটবলের ভক্ত নই। আমার প্রিয় খেলা ক্রিকেট। তাই আমার জন্য কোনো সমস্যা হয় না। ক্রিকেটের দিকেই মূলত চোখ থাকবে আমার।
কিন্তু সবাই তো আর আমার মতো নন, বরং সবার চোখ আটকে থাকবে বিশ্বকাপে। গতবার দেখেছি, বিশ্বকাপের কারণে দেশিয় মিডিয়াতেও সাকিবদের খেলার নিউজ উপেক্ষার শিকার হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ ফুটবল বিশ্বকাপ অন্য বিষয়। এর সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা চলে না।
বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় অন্য যেকোনো ক্রীড়া ইভেন্ট একেবারেই বিবর্ণ। এই সময় সাধারণত আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টগুলো হয়ও না। তবে ক্রিকেট এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আইসিসি এবং ক্রিকেট বোর্ডগুলোর কাছে মনে হয় বিশ্বকাপ ফুটবলের তেমন একটা গুরুত্ব নেই! কারণ, নিয়মিতই এই সময় কোনো না কোনো সিরিজ হচ্ছে। এই বিষয়টা আমার কাছে মোটেও ভালো মনে হয় না। ভালো সিদ্ধান্ত নয়।
এ সময় সিরিজ হওয়া মানে দর্শক হারানো। দর্শক হারানোর প্রভাব পড়ে বাণিজ্যিক দিকে। কারণ কোটি কোটি টাকা খরচ করে যারা বিজ্ঞাপন দেন টিভিতে, তাদের টার্গেট পরিপূর্ণ হয় না। কারণ বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় ক্রিকেট ম্যাচে দর্শক হয় না বললেই চলে। এতে করে বাণিজ্যিক দিক দিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয় বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের দেশ হলেও বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় চেহারা পাল্টে ফুটবলের দেশ হয়ে ওঠে। ঠিক ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মতো। বিসিবির এই জিনিসটা বুঝতে হবে। হ্যাঁ, আন্তর্জাতিক সূচির চাপ আছে। তারপরেও বিসিবি বা সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট বোর্ডের উচিৎ সিরিজ একটু আগে পরে নির্ধারণ করা। এটা হলে সিরিজটাও সফল হবে। বিসিবি যেন পরবর্তীতে বিষয়টা ভেবে দেখে।
লিয়াকত আলী ভূঁইয়া: প্রথম সহ-সভাপতি, রিহ্যাব