কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।নিহতরা হলেন লেদা এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে শামসুল হুদা (২৮) ও লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রশিদ আহমদ প্রকাশ লাল বুইজ্জার ছেলে রহিমুল্লাহ (২৩)।শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা বস্তিসংলগ্ন আলিখালী পাহাড়ি ছড়া থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ আলিখালী পাহাড়ি ছড়া থেকে ভাসমান দুজনের লাশ উদ্ধার করেন।এদের মধ্যে শামসুল হুদার গলাকাটা ও নাকেমুখে রক্তাক্ত অবস্থায় রহিম উল্লাহর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়।পুলিশের দাবি, শামসুল হুদার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় দুটি হত্যাকাণ্ড, ২টি মাদক ও অস্ত্রসহ অর্ধডজনের বেশি মামলা রয়েছে।দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।এর আগে সকালে একদল রোহিঙ্গা লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ের পশ্চিমে ছড়ায় দুটি ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেয়। লোকজন গিয়ে দেখতে পায় শাসমুল হুদা ও রহিম উল্লাহর লাশ।লেদা রোহিঙ্গা বস্তির চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব জানান, সকালে লোকজন পাহাড়ে যাওয়ার সময় ছড়ায় ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে লোকজন গিয়ে দেখে তাদের শনাক্ত করে। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিহত শামসুল হুদার ভাই স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল হুদা জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমার বাবার হত্যাকারীরাই পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান তিনি হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এইচকে আনোয়ার বলেন, সম্প্রতি অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, অবৈধ অস্ত্রের অপব্যবহার এবং খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় মানুষ আতংকিত হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধ দমনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর ভূমিকা প্রয়োজন।