কর বাহাদুর খেতাব পেয়েছে ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও তাঁর পরিবার। যাঁকে সবাই ফুটবলার সালাম নামে চেনেন। তিনি প্রতিষ্ঠিত গার্মেন্ট ব্যবসায়ী। গার্মেন্ট ব্যবসায়ীদের নেতাও তিনি। বর্তমানে তিনি আইন প্রণেতা হওয়ার পথে। খুলনা-৪ আসনের (তেরখাদা, দিঘলিয়া ও রূপসা উপজেলা) উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি। উপনির্বাচনে একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচিত হবেন। লেখাপড়া করেছেন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। মাসে তাঁর আয় ৪৭ লাখ টাকা।
নির্বাচন কার্যালয়ে সালাম মুর্শেদীর জমা দেওয়া হলফনামা সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, বিশিষ্ট এই শিল্পপতি বাসা ভাড়া, ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রতি মাসে ৪৭ লাখ টাকা আয় করেন। হলফনামায় তিনি ৮৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদ দেখিয়েছেন ২৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার।
সালাম মুর্শেদীর পেশা ‘ব্যবসা-প্রাইভেট/পাবলিক লিমিটেড কম্পানিসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/পরিচালক পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বস্ত্রশিল্প, ব্যাংক, হাসপাতাল ইত্যাদি’। বছরে নিজের আয় পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বাড়ি ভাড়া থেকে বছরে তাঁর আয় ১৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা। তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের আয় ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে বছরে নিজের আয় দুই কোটি ৬৮ লাখ টাকা; নির্ভরশীলদের আয় ১৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। শেয়ার সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে নিজের আয় দুই কোটি ৮৯ লাখ টাকা; নির্ভরশীলদের আয় ৪৭ লাখ টাকা।
সালাম মুর্শেদীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে একটি ভবন, যার মূল্য ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে একটি ভবন, মূল্য ৩৪ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজের নামে নগদ সাড়ে ১৩ লাখ টাকা; স্ত্রীর নামে চার লাখ টাকা; নির্ভরশীলদের নামে এক লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে জমা রয়েছে তিন কোটি ৬৫ লাখ টাকা; স্ত্রীর নামে ১২ লাখ টাকা ও নির্ভরশীলদের নামে ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। কম্পানির শেয়ার রয়েছে নিজের নামে ৬৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকার; স্ত্রীর নামে ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার; নির্ভরশীলদের নামে ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। সোনা আছে নিজের সাড়ে ৯ হাজার টাকার এবং স্ত্রীর চার লাখ ২৫ হাজার টাকার। আসবাবের মূল্য ৩০ হাজার টাকা। অন্যান্য অস্থাবর সম্পদ আছে নিজের নামে পাঁচ কোটি ৪৭ লাখ টাকার এবং স্ত্রীর নামে এক কোটি ২৮ লাখ টাকার। ব্যাংকে নিজের ঋণের পরিমাণ পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাঁর ব্যবহৃত গাড়ির দাম দেখানো হয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকা।
তাঁর বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলায়। রাজনীতিতে যোগ দিয়েই এই শিল্পপতি আইন প্রণেতা হচ্ছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় মুর্শেদী বলেন, তিনি খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন এক নম্বর, ব্যবসায়ী হিসেবেও এক নম্বর; রাজনীতিতেও হবেন এক নম্বর।