বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা হত্যার উদ্দেশ্যে নাশকতার সৃষ্টি এবং মানহানির অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলার জামিন আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, আতিকুর রহমান, এহসানুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরান।
এর আগে গত রবিবার হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে কুমিল্লা ও নড়াইলের তিন মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এর মধ্যে চৌদ্দগ্রামের একটি মামলা বিশেষ আইনে হওয়ায় ওই মামলায় ফৌজদারি আপিল করা হয়। তার সঙ্গেই খালেদার জামিন চাওয়া হয়। ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় নৈশকোচে পেট্রলবোমা হামলায় আট যাত্রী নিহত হন। চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ পরদিন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মামলা করে। এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার পর আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এর মধ্যে খালেদা ঢাকার দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যাওয়ায় কুমিল্লার মামলাতেও তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আর নড়াইলের আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি দায়ের করা হয় শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে। নড়াইল জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ফারুকী ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর এ মামলা করেন। আদালতের তলবে হাজির না হওয়ায় ২০১৬ সালের আগস্টে এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলা তিনটি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সোমবারের কার্য তালিকায় ছিল। তবে এখন দুটি মামলায় জামিন শুনানি চলছে। সোমবার শুনানি করতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল প্রস্তুতির জন্য সময় চান। এরপর আদালত কুমিল্লার দুই মামলার শুনানির জন্য মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার সময় নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত দিনে শুনানি শেষ না হওয়ায় বুধবার আবারও শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।