বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিগত ২৮ বছর আগে অর্থ্যাৎ ১৯৯৭ সালে তার বাসায় হামলা করে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিল। এই হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা দু’টি মামলার রায় হবে রোববার (২৯ অক্টোবর)। গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ঢাকা চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির রায় ঘোষণার রোববার (২৯ অক্টোবর) তারিখ নির্ধারণ করেন।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘অনেক বাধা-বিপত্তির পর এ মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে হত্যা চেষ্টা মামলার রায় ও বিকালে মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলার এজলাসে বিস্ফোরক মামলার রায় দেওয়া হবে।’
এ মামলার আসামিরা হলো- জজ মিয়া, সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম, মো. শাজাহান বালু, আবদুর রশীদ, গাজী ইমাম হোসেন, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় মোট ১৯ বার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এই বছরই রায় হয় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে হামলার মামলাটিতে ।
১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন। তদন্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নেতৃত্বে গঠিত দল ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসে।
১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার তদন্ত শেষ করে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়।