ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশী শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা লিবিয়া উপকূলে ডুবে গেছে। এতে শতাধিক আরোহী ছিলেন। তাদের ১৬ জনকে উদ্ধার করা হলেও বাকি সবাই নিখোঁজ রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সাগরে তাদের অন্তিম সমাধি ঘটেছে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
শুক্রবার লিবিয়া উপকূলে শরণার্থীবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়। লিবিয়ার কোস্টগার্ড সেখান থেকে ১৬ শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ডুবে যাওয়ার আগে নৌকাটির ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নৌকাটি বিকল হয়ে আগুন ধরে যায়। এছাড়া নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার অনেক বেশি আরোহী ছিলেন। উদ্ধারকৃত শরণার্থী আমরি সালেহ বলেন, পূর্বে আমাকে বলা হয়েছিল নৌকায় মাত্র ২০ জন যাত্রী থাকবে। কিন্তু অনেক বেশি আরোহী দেখে আমি নৌকায় উঠতে অস্বীকৃতি জানাই। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক আমাকে নৌকায় তোলে মানব পাচারকারীরা।’ তিনি ইয়েমেনের অধিবাসী। দুর্ঘটনার বিষয়ে আমরি বলেন, আমি বন্ধুদের হারিয়েছি। তাদের পাঁচজনই নিখোঁজ। আরেক শরণার্থী বাকারি বদি বলেন, যাত্রার শুরুতে এক আরোহী পানিতে পড়ে যায়। পরে সে সাঁতার কেটে আবার নৌকায় উঠে। আরোহীরা নৌকার মাঝিকে লিবিয়ায় ফিরে যেতে বলছিলেন। এমন সময় আমাদের ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ ঘটে। এত বেশিরভাগ আরোহী আঘাত পান। দুর্ঘটনা সময় নৌকাটিতে ঠিক কতজন আরোহী ছিলেন তা জানা যায়নি। তবে উদ্ধারকৃত শরণার্থীরা বলছেন, তাদের সঙ্গে ১৪ শিশু ও ১৫ নারী ছিলেন।
লিবিয়া উপকূল দিয়ে শরণার্থীদের ইউরোপে প্রবেশের প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আফ্রিকার শরণার্থীরা প্রায়ই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এই পথে ইউরোপে প্রবেশ করে। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে তাদের ইঞ্জিনচালিত নৌকা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত এই পথ ব্যবহার করে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছে প্রায় দেড় লাখ শরণার্থী।