ফরিদগঞ্জে গর্ভধারণী মাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ক্ষতবিক্ষত হয়েছে মায়ের দেহ। রান্না করা হচ্ছিল একটি হাত। গর্ভধারিণী মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। ঘাতকের নাম মিলন হোসেন। মিলন মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গেছে।
উপজেলার ১৫নং ইউনিয়নের পশ্চিম রুপসা গ্রামের দফাদার বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে ফিরোজা বেগমের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনা প্রকাশ হয়। রাতে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নৃশংস এ ঘটনায় ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এলাকাবাসী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ির আশপাশে প্রকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে পার্শ্ববর্তী বিডিআর সদস্য (অবসরপ্রাপ্ত) মুকবুল আহম্মদ (৪৫)সহ কয়েকজন ওই ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এ সময় ঘাতক মিলন মুকবুল আহম্মদকে কুপিয়ে জখম করে। অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে মিলনকে আটক করে। তারা মিলনের বসতঘরে প্রবেশ করলে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ দেখতে পান। লাশের দেহে একটি হাত ছিল না। তারা ঘরের ভেতর খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে দেখেন বৃদ্ধার কাটা হাতটি চুলার উপরে পানি ভর্তি পাতিলে রান্না করা হচ্ছে। পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা, মঙ্গল-বুধবারের কোনো এক সময় মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে। গর্ভধারিণী মায়ের নাম ফিরোজা বেগম (৬৫)। তার গলা কেটে ও কুপিয়ে দেহ ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। ওই স্থানটি কিছুটা নির্জন। ওই ঘর থেকে লোকজনের বসবাস নিরাপদ দূরত্বে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে আটক মিলন হোসেন ও তার মায়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় নিয়ে যায়। এলাকাবাসী আরো জানান, গ্রামের দফাদার বাড়ির ব্রিজ সংলগ্ন খাল পাড়ের মৃত আলী আহম্মদের দুই ছেলের মধ্যে মিলন হোসেন (৩৫) বড়। এর আগেও মা ফিরোজা বেগমকে একাধিকবার কুপিয়ে জখম করেছিল মিলন। এর ফলে মিলন থানা পুলিশের হাতে আটক হয়ে হাজত খাটে। তারা জানান, মিলন হোসেন খুব ছোটবেলা হতে মানসিক ভারসাম্যহীন। তার অপর ছোট ভাই আলমগীর হোসেন বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করছে। ফরিদগঞ্জ থানার ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ছেলে মিলনকে আটক ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মামলা দায়ের করে গতকাল মিলনকে কোর্টে প্রেরণ ও নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।