বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের নামী তারকা সবাই। ভুগেছেন মানসিক দুশ্চিন্তা, অবসাদে। কারোর সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লেগেছে। কেউ কেউ আবার তাড়াতাড়ি সেরে উঠেছেন। ভক্তদের কাছে লুকিয়ে রাখেননি। সেরে ওঠার পর জনসমক্ষে বলেছেন তাঁদের অবসাদের কথা।
শাহরুখ খান: মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শাহরুখ খান। সালটা ২০১০। কাঁধে চোট পান শাহরুখ। মারাত্মক যন্ত্রণা হত। আর তা থেকেই ডিপ্রেশন শুরু হয় শাহরুখের। বলেছিলেন, কাঁধে যন্ত্রণার জেরে মানসিক যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল। তবে সেসব কাটিয়ে উঠে সুস্থ হয়েছি।
দীপিকা পাড়ুকোন : ডিপ্রেশনের মধ্যে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন। সেরে ওঠার পর জানিয়েছিলেন সেকথা। অনেকে মনে করেন, মানসিক সমস্যার কথা জনসমক্ষে বললে নিজের ইমেজ খারাপ হবে। দীপিকা সেসবের পরোয়া করেননি। জানিয়েছিলেন, অত্যাধিক চাপের কারণে ডিপ্রেশনে ভুগতেন। তখন কাজের মধ্যে ডুবে থেকে ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন। মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। তাতে অনেকটাই হালকা হতে পেরেছেন। সবটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। বারবার ভেঙে পড়েছেন আর ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।
হৃতিক রোশন : ডিপ্রেশনে ছিলেন হৃতিকও। নিজের মুখেই স্বীকার করেছিলেন সেকথা। উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে আমার জীবন এগিয়েছে। ডিপ্রেশনে ভুগেছি। ধন্দে ভুগেছি। সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধে হয়েছে। তবে সবার জীবনে এসব আসে। জীবনেরই অঙ্গ আসলে। আর উত্থান-পতন, অবসাদ, ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে এসেছি। ডিপ্রেশনে থাকলে চিন্তার স্বচ্ছতা দরকার। তবেই বেরিয়ে আসা যাবে। ” বলেছিলেন অভিনেতা।
আনুশকা শর্মা : দুশ্চিন্তায় ভুগতেন আনুশকা। সমস্যা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য খেতে হয়েছে ওষুধও। হৃতিকের মতো একই কথা বলেছিলেন আনুশকা। জানিয়েছিলেন, দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছিল তাঁকে। ওষুধ খেয়েছেন সেজন্য। এসব বলতে তাঁর বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই। কারণ, খুব স্বাভাবিক বিষয়। হতেই পারে। এনিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যেতে পারে। সব্বার উচিত খোলামেলা আলোচনা করা। তাতে সমস্যা কমবে। অনেক মুক্ত হওয়া যাবে।
করণ জোহর : দা আনসুইটেবল বয় নামের আত্মজীবনীতে নিজের মানসিক দুশ্চিন্তার কথা খোলসা করেছিলেন করণ। লিখেছিলেন, একটা সময় সম্পর্ক নিয়ে হতাশায় ভুগেছেন। ভালোবাসার অভাব তাঁকে মনানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। আমি কারোর সঙ্গে থাকতে পারবো তো? এই প্রশ্নটা বারবারা হাজির হত সামনে। এখন আর সেসব নেই। মনে হয়, এছাড়াও জগতে অনেককিছু নিয়ে ভাবার আছে।